থাইরিস্টর (Thyristors) 

সিলিকন কন্ট্রোল রেক্টিফায়ার (SCR) বাজারে থাইরিস্টর বা খাইরোড (Thyrode) নামে পরিচিতি। এটি এমন এক ধরনের। সেমিকন্ডাক্টর ডিভাইস, যা ইলেকট্রনিক সুইচ হিসাবে কাজ করে। এছাড়াও এসি কারেন্টকে ডিসিতে রূপান্তরিত করে, একই সাথে লোডে প্রয়োগকৃত পাওয়ারের পরিমাণকেও নিয়ন্ত্রণ করতে পারে।

SCR একই সাথে রেক্টিফায়ার এবং ট্রানজিস্টরের ন্যায় কাজ করে। কোন জাংশন ট্রানজিস্টরের সাথে অপর একটি P অথবা N টাইপ সেমিকন্ডাক্টর যুক্ত করলে যে তিন জাংশন বিশিষ্ট ইলেকট্রনিক ডিভাইস তৈরি হয়, তাকে SCR বলে। এই প্রকার ডিভাইস ডায়োড এবং ট্রানজিস্টরের পরেই ইলেকট্রনিক্স সার্কিট ডিজাইনে বহুল পরিমাণ ব্যবহার করা হয়। ১৯৫৭ সালে আবিষ্কারের পর SCR কে বিভিন্ন প্রকার কার্যাবলি যেমন- রেক্টিফিকেশন, ইনভার্শন এবং পাওয়ার সরবরাহের রেগুলেশন ইত্যাদিতে ব্যবহার করা হচ্ছে। এ প্রকার ডিভাইস কয়েক হাজার অ্যাম্পিয়ার কারেন্ট এবং ভোল্টেজকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে বলে শিল্প-কারখানায় ইলেকট্রনিক্সে যথেষ্ট গুরুত্বের সাথে তা ব্যবহার করা হয়। আলোচ্য অধ্যায়ে SCR এর বৈশিষ্ট্যসমূহ আলোচনা করা হয়েছে।


থাইরিস্টরের প্রকারভেদ (The types of thyristors) :

থাইরিস্টরকে মূলত ইলেকট্রন ও হোল প্রবাহের দিক অনুসারে দুই ভাগে ভাগ করা যায়। যথাঃ

১। ইউনিডাইরেকশনাল খাইরিস্টর (Unidirectional thyristors): যে সকল ঘাইরিস্টর শুধুমাত্র ফরোয়ার্ড ডিরেকশনে কাজ করে তাদেরকে ইউনিডিরেকশনাল খাইরিস্টর বলে। যেমন- SCR, SCS, LASCR.

২। বাইডাইরেকশনাল খাইরিস্টর (Bidirectional thyristors)। যে সকল থাইরিস্টর ফরোয়ার্ড এবং রিভার্স উভয় ডিরেকশনে কাজ করে তাদেরকে বাইডিরেকশন থাইরিস্টর বলে। যেমন- TRIAC.

থাইরিস্টরসমূহকে আবার আট ভাগে ভাগ করা যায়। যথাঃ

(ক) ফোর্সেড কম্যুটেটেড থাইরিস্টর

(খ) লাইন কম্যুটেটেড থাইরিস্টর

(গ) গেট-টার্ন অফ থাইরিস্টর (GTO)

(ঘ) রিভার্স কন্ডাকটিং থাইরিস্টর (RTO)

(ঙ) স্ট্যাটিক ইন্ডাকটিং খাইরিস্টর (SITH)

(চ) গেট এসিসটেড টার্ন অফ থাইরিস্টর (GATT)

(ছ) লাইট অ্যাক্টিভেটেড সিলিকন কন্ট্রোলড রেক্টিফায়ার (LASCR)

(জ) MOS নিয়ন্ত্রিত খাইরিস্টর (MCT) ইত্যাদি।