ফ্রিকুয়েন্সী কি

কোন অল্টারনেটিং ভোল্টেজ (A.C. Voltage) প্রতি সেকেন্ড যতগুলো সাইকেল সম্পন্ন করে তাকে ফ্রিকুয়েন্সি বলে। এর একক সাইকেল/সেকেন্ড সংক্ষেপে হার্টজ (Hertz Hz)। অল্টারনেটরের ফ্রিকুয়েন্সির সূত্র  f =PN/120 সুতরাং কোনো অল্টারনেটরের সিনক্রোনাস গতিবেগ ও পোল সংখ্যা জানা থাকলে ফ্রিকুয়েন্সি পরিমাপ হিসাব করা যাবে। 

এসি সিস্টেমে ফ্রিকুয়েন্সি এবং পাওয়ার ফ্যাক্টর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এসি সার্কিটে ব্যবহৃত প্যারামিটারসমূহের (ইন্ডাকটেন্স ও ক্যাপাসিটেন্স)-এর বৈশিষ্ট্য ফ্রিকুয়েন্সি পরিবর্তনের সাথে সাথে পরিবর্তিত হয়। তাই এসি সার্কিট বিশ্লেষণ ও সমাধানের জন্য ফ্রিকুয়েন্সির ভূমিকা উল্লেখযোগ্য। আবার একটি এসি সার্কিট কি পরিমাণ পাওয়ার গ্রহণ করবে তাহা DC সার্কিটের মত শুধুমাত্র ভোল্টেজ ও কারেন্টের মানের উপর নির্ভর করে না। এসি সার্কিটের ক্ষেত্রে এটি পাওয়ার ফ্যাক্টর নামক বিষয়ের উপর নির্ভর করে। এর মান অন্যান্য মিটার রিডিং বা সার্কিট প্যারামিটারের মান জেনে নির্ণয় করা যায়। কিন্তু কোনো কোনো সময় একটি এসি সার্কিটের গাওয়ার ফ্যাক্টরের মান তাৎক্ষণিকভাবে জানার প্রয়োজন পড়ে, বিশেষ করে যখন এর মান অনবরত পরিবর্তনশীল হয়।কাজেই এসি সার্কিটের ফ্রিকুয়েন্সি ও পাওয়ার ফ্যাক্টর নির্ণয়ের জন্য এর পরিমাপ এবং পরিমাপক যন্ত্র সম্পর্কে জ্ঞান থাকা আবশ্যক।

Analog Frequency Meter


 ফ্রিকুয়েন্সি পরিমাপের পদ্ধতি

(Name the Methods of Measuring Frequency) নিচে ফ্রিকুয়েন্সি পরিমাপের বিভিন্ন পদ্ধতি দেওয়া হলো-

(১) মেকানিক্যাল রেজোন্যান্স পদ্ধতি (Mechanical Resonance Type)

(২) ইলেকট্রিক্যাল রেজোন্যান্স পদ্ধতি (Electrical Resonance Type)

(৩) ইলেকট্রো-ডায়নামোমিটার মেথড (Electro-Dynamometer Type)

(৪) ওয়েসটন পদ্ধতি (Weston Type) 

(৫) রেশিও মিটার পদ্ধতি (Ratiometer Type)

(৬) স্যাচুরেবল কোর পদ্ধতি (Saturable Core Type)

(৭) ফ্রিকুয়েন্সি ব্রিজ পদ্ধতি (Frequency Bridge Type)

(৮) ক্যাথড রে অসিলোস্কোপ পদ্ধতি (CRO Type)

(৯) স্ট্রোবোসকপিক পদ্ধতি (Stroboscopic Methods)

(১০) ইলেকট্রোনিক কাউন্টার (Electronic Counters)