আর্থটেস্টারের সাহায্যে আর্থ রেজিস্ট্যান্স পরিমাপ
(Describe Measurement of Earth Resistance Using Earth Tester)
আর্থ-টেস্টারের সাহায্যে আর্থ ইলেকট্রোডের রেজিস্ট্যান্স তথা আর্থ রেজিস্ট্যান্স পরিমাপ করা হয়। তাই তাকে আর্থ টেস্টার বলে। আর্থ রেজিস্ট্যান্স মূলত আর্থ এবং আর্থ ইলেকট্রোডের মধ্যকার রেজিস্ট্যান্স। আর্থের বিপুল প্রস্থচ্ছেদের জন্য রেজিস্ট্যান্স এবং পটেনশিয়াল শূন্য ধরা হয়। আর্থ হতে আর্থ-ইলেকট্রোডের রেজিস্ট্যান্স নিম্নলিখিতভাবে গঠিত হয়।
(ক) ইলেকট্রোডের নিজস্ব রেজিস্ট্যান্স।
(খ) আর্থ এবং ইলেকট্রোডের মধ্যকার কন্টাক্ট রেজিস্ট্যান্স।
(গ) দুটি ইলেকট্রোডের মধ্যকার মাটির রেজিস্ট্যান্স।
যা হোক ইলেকট্রোডের নিজস্ব রেজিস্ট্যান্স এবং ইলেকট্রোডদ্বয়ের মধ্যকার মাটির রেজিস্ট্যান্স অত্যন্ত কম। প্রকৃত পক্ষে আর্থের রেজিস্ট্যান্স, আর্থ এবং ইলেকট্রোডের মধ্যকার কনটাক্ট-রেজিস্ট্যান্স ছাড়া আর কিছু নয়। যেহেতু আর্থের রেজিস্ট্যান্স অত্যন্ত কম, সেহেতু অ্যামমিটার ভোল্টমিটার পদ্ধতি দ্বারা দুটি ইলেকট্রোডের মধ্য দিয়ে কারেন্ট প্রেরণ করে এর প্রকৃত পরিমাপ নির্ণয় সম্ভব নহে। এরূপ পরিমাপে অসুবিধা এই যে, একটি ইলেকট্রোডের আর্থ রেজিস্ট্যান্স পরিমাপ করতে গেলে অন্য ইলেকট্রোডটিও পরিমাপের ভিতর এসে পড়ে। বাস্তবে, জ্ঞাত মানের অন্য ইলেকট্রোড পাওয়া সব সময় সম্ভব হয়ে উঠে না। এ অসুবিধা অতিক্রম করতে তিন-পয়েন্ট পদ্ধতিতে পরিমাপ করতে হয়, যা নিম্নে বর্ণনা করা হলো।
নিচে একটি আর্থটেস্টারের গঠন ও তা দ্বারা কিভাবে আর্থ রেজিস্ট্যান্স পরিমাপ করা হয় তা বর্ণনা করা হলো।
আর্থ-টেস্টার (Earth Tester)
আর্থটেস্টারের গঠন |
0 মন্তব্যসমূহ