কন্ট্রোল রেক্টিফায়ার (Controlled rectifier)

সাধারণ রেক্টিফায়ার সার্কিট সম্বন্ধে আমরা জানি, এটি এমন এক ধরনের সার্কিট খায় ইনপুটে এসি ভোল্টেজ সাপ্লাই দিলে আউটপুটে ডিসি ভোল্টেজ পাওয়া যায়। আউটপুটের ডিসি ভোল্টেজ যদি নিয়ন্ত্রিত হয়, অর্থাৎ রেক্টিফায়ার সার্কিট হতে প্রাপ্ত ডিসি ভোল্টেজকে যদি ইচ্ছেমত নিয়ন্ত্রণ করা যায়, তবে তাকে কন্ট্রোলড রেক্টিফায়ার বলে। এক্ষেত্রে কন্ট্রোলড আউটপুট পাওয়ার জন্য ডায়োডের পরিবর্তে ফেজ কন্ট্রোল খাইরিস্টর ব্যবহার করা হয়। যার ফায়ারিং অ্যাঙ্গেলকে বা সময়কে নিয়ন্ত্রণ করেই সার্কিটের আউটপুট ভোল্টেজকে পরিবর্তন করা হয়। সাধারণত সার্কিটে ব্যবহৃত ফেজ কন্ট্রোল থাইস্টিরকে টার্ন। অফ করার জন্য এর গেটে ট্রিগার পালস দিতে হয় এবং টার্ন অফ করার জন্য রেজিস্টিভ লোডের ক্ষেত্রে ন্যাচারাল বা লাইন কম্যুটেশন পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়। আর ইন্ডাকটিভ লোডের ক্ষেত্রে ইনপুট সাপ্লাই ভোল্টেজের-ve অর্ধ-সাইকেলে অন্য আর একটি খাইরিস্টর ফায়ারিং করতে হয়।

যেহেতু এ ধরনের রেক্টিফায়ার সার্কিট এসিকে ডিসি করে, এজন্য অনেক সময় একে এসি-ডিসি কনভার্টারও বলা হয়। কন্ট্রোলড রেক্টিফায়ার সার্কিট হতে সাধারণত ৯৫% এর অধিক দক্ষতা (Efficiency) পাওয়া যায়।


কন্ট্রোল রেক্টিফায়ারের প্রকারভেদ (Types of control rectifier)

ইনপুট সাপ্লাইয়ের উপর ভিত্তি করে খাইরিস্টর বা SCR ব্যবহৃত ফেজ কন্ট্রোল রেক্টিফায়ার সার্কিটকে দু'ভাগে ভাগ করা যায়ঃ 

(ক) সিঙ্গেল ফেজ কন্ট্রোলড রেক্টিফায়ার এবং

(খ) পলি (Poly) ফেজ কন্ট্রোলড রেক্টিফায়ার।


সিঙ্গেল ফেজ কন্ট্রোলড রেক্টিফায়ারকে আবার নিম্নোক্ত ভাগে ভাগ করা যায় 

১। হাফ ওয়েভ কন্ট্রোলড রেক্টিফায়ার।

২। ফুল ওয়েভ কন্ট্রোলড রেক্টিফায়ার।

৩। হাফ কন্ট্রোল ব্রীজ রেক্টিফায়ার।

৪। ফুল কন্ট্রোল ব্রীজ রেক্টিফায়ার।


উপরোক্ত কন্ট্রোলড রেকটিফায়ার সার্কিটে ব্যবহৃত লোডসমূহ নিম্নরূপ হতে পারে:

১। রেজিস্টিভ লোড।

২। রেজিস্টিভ ও ইন্ডাকটিভ লোড ইত্যাদি।

৩। রেজিস্টিভ, ইন্ডাকটিভ লোড ও ফ্লাইহুইল ডায়োড।

৪। রেজিস্টিভ, ইন্ডাকটিভ ও ব্যাটারি লোড।


উল্লেখযোগ্য কিছু সিঙ্গেল ফেজ কন্ট্রোল রেকটিফায়ার সার্কিট সম্বন্ধে আলোচনা করা হল।